ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলুন


দাগ হীন সুস্থ সুন্দর ও পরিষ্কার ত্বক আমাদের সবারই পছন্দ। কিন্তু আমরা কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই আলাদা করে ত্বকের যত্ন নিতে পারি না। রোদে পুড়ে ও ধূলা ময়লায় ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। মুখের সঙ্গে হাতে-পায়ের উজ্জ্বলতা ও নষ্ট হয়ে যায়। তখন আমাদের চিন্তা আসে কিভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করব।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলুন
ত্বককে ভালো রাখার জন্য যত্নের প্রয়োজন, তাহলে ত্বক নষ্ট হবে না। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম রয়েছে যেগুলো ত্বকে উজ্জ্বল করে। এই ক্রিম ব্যবহার করা উচিত নয়। এই ক্রিম ব্যবহার করলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ

হলুদ গুঁড়া ব্যবহারঃ

হলুদ ত্বকের জন্য খুবই উপকার। দাগ দূর করতে হলুদের বিকল্প নেই। এক চামচ হলুদের গুড়া, এক চামচ বেসনএর সঙ্গে দুধ বা পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি আপনার মুখে ও ঘাড়ে লাগান এবং শুকানো পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হাত পায়ের কালো দাগ দূর করে এবং ত্বককে করে তুলবে টানটন।

মধুর ব্যবহারঃ

মধু, গুড়া দুধ, বাদাম তেল ও লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগান।মধু ত্বকের ময়েশ্চারাইজার এবং ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন রকমের দাগ ও ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। রোদে পোড়া ভাব দূর করে।

দুধের ব্যবহারঃ

দুধের সঙ্গে,লেবুর রস ও অ্যালোভেরার রস মেশান।দুধ সরাসরি আপনার ত্বকে না লাগিয়ে এইগুলোর সঙ্গে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।সুন্দর ত্বক পেতে কাঁচা দুধের বিকল্প নেই।

কমলার রসঃ

কমলা তে রয়েছে ভিটামিন সি। যা আপনার ত্বক, দাঁত, সর্দি, কাশি ইত্যাদিতে ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন একটি করে কমলা খাওয়া সকলের উচিত।কমলার রস আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।কমলার খোসার সঙ্গে বেসন মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

অলিভ অয়েলের ব্যবহারঃ

অলিভ অয়েল ত্বকের এন্ট্রি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। এই তেল ত্বকের জন্য খুবই ভালো। এটি ব্যবহার করলে বার্ধক্য রোধ হয়। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েকফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে মুখে ও ঘাড়ে লাগান। দুই থেকে তিন মিনিট মাসাজ করন। তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে শসাঃ

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শসার রস খুবই উপকারী।শসার রসের সঙ্গে মুলতানি মাটি এবং চন্দনের গুড়ো দিন। এই প্যাকটি ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে, হাতে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার দশ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কেটে যাবে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

ত্বকের পোড়া ভাব কাটবে পেঁপেতেঃ

পাকা পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। পেঁপে খেলে আমাদের যেমন উপকার হয়। তেমনি ত্বকে ব্যবহার করলেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। ২ টেবিল চামচ পেঁপে একটি বাটিতে নিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্টটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুইবার, এক সপ্তাহ এভাবে পেঁপে ব্যবহার করলে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে যাবে।

আলুর রস ও মধুর ফেসপ্যাকঃ

১ চামচ আলুর রস এবং এক থেকে দুই ফোটা মধু মিশিয়ে দিতে হবে।এই দুটি মিশ্রণ ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে ও ঘাড়ে লাগাতে হবে।আলু ত্বকের ব্লিচার হিসেবে কাজ করে।আর মধু ত্বককে গভীরভাবে মশ্চারাইজার করে। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার এই ফেসপ্যাক টি ব্যবহার করবেন। তাহলে আপনি উপকৃত হবেন।

শেষ কথাঃ

এই জিনিসগুলো আমরা যদি ব্যবহার করে থাকি তাহলে আমাদের অবশ্যই উপকার হবে। কারণ এগুলো ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি। এতে কোন সাইড ইফেক্ট হবে না।ত্বক ভালো থাকতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। এই আর্টিকেল পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আমার পেজটি লাইক দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url