লেটুস পাতার গুনগত পুষ্টি উপাদান



লেটুস পাতা পৃথিবীর শাকসবজির মধ্যে একটি।ছোট ছোট বড় সকলে লেটুস পাতা পছন্দ করেন। এর পুষ্টিগুণ অনন্য।এতে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন রয়েছে, একেবারে কম ক্যালরি। লেটুস পাতায় প্রোটিন, ক্যালসিয়াম,আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে রয়েছে।এটি আমাদের প্রতিদিনের খাবারে প্রযোজ্য এটি কাঁচা শাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
লেটুস পাতার ব্যাবহার
লেটুস পাতা ক্যালসিয়ামের প্রধান ভূমিকা পালন করে। যা অস্থি এবং দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখে।যেহেতু এর ক্যালরির পরিমাণ কম, সেজন্য একটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। লেটুসপাতা একটি প্রাকৃতিক ও পুষ্টিগত শাক যা অনেক প্রকারের খাবারে ব্যবহৃত হয়।

ভূমিকাঃ

লেটুস পাতা খাবার হিসেবে খুব পুরানো ও প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়েছে। এটি পুরাতন সময়ে মানব সমাজের অংশ হিসেবে পরিচিত ছিল। এটি অনেক প্রকার খাবারের ব্যবহৃত হতে পারে যেমন সালাদ, স্যান্ডউইচ, সুপ, চাটনি ইত্যাদি। এটি ভারত এবং চীনে পাওয়া যায়। আবার আমাদের দেশেও পাওয়া যায়।

লেটুস পাতার পুষ্টিগুণঃ

লেটুস পাতার অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে । এই পুষ্টিগুণ গুলো নিচে দেওয়া হল।

বালি রেখা দূর করেঃ

নিয়মিত লেটুস পাতা খেলে বার্ধক্য দেরিতে আসে। ত্বকে বালি রেখা পড়ে না। এ পাতায় রয়েছে ভিটামিন বিওয়ান, বি টু থ্রি। এই উপাদান গুলো শরীরের যে কোন অঙ্গে পানি জমা রোধ করে।

কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করেঃ

লেটুস পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে বিটা ক্যারোটি ও ভিটামিন সি।এটি কোলেস্ট্রেরল কমাতে সাহায্য করে।

ঠান্ডা সমস্যা দূর করেঃ

হাঁচি, কাশি, কফ,হাঁপানি ও ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করতে চাইলে ছালাদে প্রতিদিন লেটুস পাতা ব্যবহার করুন। ঠান্ডা জনিত অসুখ দূর হয়ে যাবে।

হারের ক্ষয় রোধ করেঃ

লেটুস পাতায় ভিটামিন কে থাকে। এটি হাড়ের মেটাবলিজম বাড়ায়। নিয়মিত লেটুস পাতা খেলে হাড়ের ক্ষয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এজন্য প্রত্যেকে লেটুস পাতা খেতে হবে।

কেটে গেলেঃ

শরীরের কোন জায়গায় কেটে গেলে সেখানে লেটুস পাতা থেঁতো করে লাগাতে হবে। ব্যথা ভালো হয়ে যাবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করেঃ

লেটুস পাতায় ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ওজন কমানোর জন্য এটি আমাদের খেতে হবে। তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখাঃ

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য লেটুস পাতা খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।এজন্য আমাদের নিয়মিত লেটুস পাতা খাওয়া উচিত। কাঁচা ও রান্না উভয় ভাবেই লেটুস পাতা খাওয়া হয়।
  • খুকশির বিরুদ্ধেও কাজ করে এই পাতা।অনেক শ্যাম্পুতে লেটুস পাতার গুড়া ব্যবহার করা হয়।
  • দীর্ঘ সময় রৌদ্রে থাকলে ত্বকে কালচে পোড়া ভাব হয়।লেটুস পাতা থেঁতলে ত্বকে দিলে ত্বকের উপকার হয়।
  • এই উপাদানটি রক্তের জন্য খুবই উপকার।রক্তে পটাশিয়ামের মাএয়া কমে গেলে র্হাট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে।লেটুস পাতায় যথেষ্ট পরিমানে পটাশিয়াম পাওয়া যায়।

লেখক এর মন্তব্যঃ

পরিশেষে বলা যায় লেটুস খুবই উপকারী একটি সবজি।বাংলাদেশের মানুষের কাছে লেটুস পাতার জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এটি বিভিন্ন রকমের পুষ্টি উপাদানে ভরপুর।লেটুস পাতা আমাদের পরিমাণ মতো খেতে হবে। আমার আর্টিকেল পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার পেজটি ভিজিট করতে পারেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url