রান্না ঘরের আবর্জনা থেকে জৈব সার বানাবেন যেভাবে


রান্নাঘরের আবর্জনা দিয়ে আমরা সহজেই জৈব সার তৈরি করতে পারি। যেমন সবজি কাটার পর যে খোসা থাকে, শাক পরিষ্কার করার পর গোড়া, ডিমের খোসা কিংবা কলার খোসা আমরা ফেলে দিই রান্নাঘরের ডাস্টবিনে। জৈএগুলো ফেলে না দিয়ে সবগুলো উপাদান একসঙ্গে রেখে দিতে হবে। এই উপাদানগুলো একসঙ্গে রাখার ফলে তৈরি হবে সার।
রান্না ঘরের আবর্জনার সার

ভূমিকাঃ

 এ সার মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করবে বহুগুণ। এই নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ জৈব সার যে কোন গাছে দিলে গাছগুলো সতেজ হয়ে উঠবে। গাছ তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠবে। জৈব সারের চারটি উপাদান থাকে যেমন কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন।

যা যা ব্যবহার করতে পারেন সার তৈরির জন্যঃ

  • কলার খোসা
  • নিমপাতা
  • ডিমের খোসা
  • শুকনো পাতা শাকসবজি ফেলে দেওয়া অংশ
  • টক দই
  • ঝুরঝুরে মাটি
কলার খোসা যোগান দেয় নাইট্রোজেন ,পটাশিয়াম,ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম।ডিমের খোসায় রয়েছে ক্যালসিয়াম কার্বনেট। এই উপাদানটি গাছের শক্তি বাড়ায়। নিম পাতা পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে গাছকে। ঝুরঝুরে মাটির দুর্গন্ধ দূর করবে ও দ্রুত সার তৈরিতে সাহায্য করবে। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন পাওয়া যায়, যা গাছের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

যেভাবে তৈরি করবেন সারঃ

সার তৈরির জন্য একটি বড় পাত্র নিতে হবে। প্লাস্টিক বা মাটির পাত্র যেকোনো একটি নিলেই হবে। নিচে কিছু অংশ ছিদ্র করে দিবেন।পাত্রটি ছড়ানো না হলে বালতির মতো উঁচু হলে গায়ের তিন/চার জায়গায় ছিদ্র করে দিন। প্রথমে ঝুরঝুরে মাটি দিয়ে নিচে অংশ ঢেকে দিন। উপরে এক মুঠো জৈব সার দিন। এতে করে এই জিনিসগুলো দ্রুত পচে যাবে। কলার খোসা টুকরো টুকরো করে দিন।
 
ডিমের খোসা হাত দিয়ে ভেঙ্গে দন।ওপরে দিন শাক সবজির ফেলে দেওয়ার অংশ। খানিকটা টক দই দিতে পারেন।সবকিছু দেওয়া শেষ হয়ে গেলে এক মুঠো দৈব সার ও ঝুরঝুরে মাটির লেয়ার দিয়ে ঢেকে দিন। সবশেষে পানি দিতে হবে। পাত্রটি একটি ট্রের উপর রাখবেন।কারণ ট্রের উপর যে পানি জমে যাবে সেই পানিটি আবার ঢেলে দিতে হবে। এই পানিতে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন থাকে।

পাত্রটি ঘরের বাইরে রাখুন। আবার বারান্দাও রাখতে পারেন। সাড় তৈরির জন্য আলো বাতস,রোদ ও গরম পরিবেশ প্রয়োজন হবে । উপরের মাটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে দেবেন।মাঝখানে পর নিড়ানি দিয়ে নেড়ে দিতে হবে এবং শুকনো পাতা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। যাতে করে গন্ধ না বাড়ায়।কয়েক দিন পর পর পানি দিতে হবে। আড়াই থেকে তিন মাস পর শুকনো পাতা সরিয়ে সার বের করুন। তারপর গাছের গোড়ায় দিয়ে দিন এই সার।

শেষ কথাঃ

আমরা যেভাবে জৈব সার তৈরি করলাম এভাবে তৈরি করলে, বাজার থেকে কিনে এনে সার দিতে হবে না ।জৈব সার ব্যবহার করলে গাছ দ্রুত খাবার সংগ্রহ করতে পারে। কারণ কয়েক মাস ধরে এই সার প্রস্তুত করা হয়। আমি যেভাবে বললাম সেভাবে যদি আপনারা সার তৈরি করেন তাহলে ,আপনাদের বাগানের ফুল- ফল প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হবে। বন্ধুরা, পোস্টটি কেমন লাগলো, অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না ।যদি কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই জানাতে পারেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url