পেঁপে খাওয়ার ফলে কিভাবে ওজন কমবে
পেঁপে অনেকেই পছন্দ করে। এই ফল সারা বছর পাওয়া যায়। পেঁপের দামও খুব কম। পেঁপে দুই অবস্থায় খাওয়া যায় কাঁচা পেঁপে তরকারির সঙ্গে খাওয়া যায় এবং পেকে গেলেও খাওয়া যায়।পেঁপে ত্বক মসৃণ রাখে। পেঁপেতে থাকে ম্যাজিক্যাল এনজাইম পেপেইন দেহের নানা উপকার করে। পেঁপেতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হয়েছে। পেঁপে খাওয়ার ফলে পেট ভরায় থাকে ক্ষুধা কম লাগে। পেঁপে খাওয়ার ফলে ওজন কমতে সাহায্য করে। পেঁপেতে থাকে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান যা শরীর সুস্থ রাখে।
পুষ্টিবিদরা বলে, কাঁচা পেঁপের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরের জটিল রোগ সারিয়ে তুলেন। পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন সি। কাঁচা পেঁপের উপকারিতা অনেক রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ক্ষত নিরাময় করে, হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ডেঙ্গু রোগ আক্রান্তদের জন্য দারুন উপকারী পেঁপে।
ভুমিকাঃ
১০০ গ্রাম কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে ৩২ গ্রাম ক্যালরি আর ৭ গ্রাম শর্করা। এছাড়া রয়েছে পটাশিয়াম ভিটামিন সি সহ নানারকম পুষ্টি উপাদান। সুপার ফুড হিসেবে একে আখ্যায়িত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরো পড়ুনঃ আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা
ওজন কমানোর পাশাপাশি, পেঁপে একটি স্বাস্থ্যকর খাবারও বটে। পেঁপের ডায়েট সব খাবারের সঙ্গে যায় না। পুষ্টি বিদের মতামত নেওয়ার পর পেঁপের ডায়েট করা উচিত। পেঁপে মেদ কমাতে সাহায্য করে। পেঁপের ডায়েট করার সময় দুইদিন পেঁপে খেতে হবে। এই ডায়েট করার ফলে আপনার ডায়রিয়া হতে পারে। তবে ভয়ের কিছু নেই। এই ডায়েট সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন নিয়মিত তিন মাস ধরে অনুসরণ করতে হবে। তাহলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
পেঁপের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে রাখুনঃ
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ
ওজন কমাতে কাঁচা পেঁপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পেঁপেতে পাপাইন থাকে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে আঁশ বা ফাইবার রয়েছে। পেঁপেতে ক্যালরির পরিমাণ কম রয়েছে। তেমনি মেদ কমানোর কিছু উপাদান রয়েছে। ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। দইয়ের সঙ্গে গ্রেট করা কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন, কিংবা সালাদ হিসেবেও খেতে পারেন। পেঁপের বীজ ওজন কমাতে সহায়তা করে। এই ছোট কালো বীজেরও আরো অনেক গুন রয়েছে, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। এর ফলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বির দূর হয়ে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তিঃ
কাঁচা পেঁপেতে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর এনজাইম থাকে। এটি খাওয়ার ফলে পেট ঠান্ডা থাকে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে। এগুলো পেট পরিষ্কার রাখে এবং টক্সিন মুক্ত হজম প্রক্রিয়া পেতে সাহায্য করে। পেঁপে খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাইলস কিংবা ফিসচুলা অপারেশনের পর ডাক্তার আপনাকে পেঁপে খাওয়ারই পরামর্শ দেবেন।
হজমে সাহায্য করেঃ
পেঁপে খাওয়ার ফলে হজম প্রক্রিয়া খুব ভালো হয়। কাঁচা পেঁপে ডায়েটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ। ফলে অন্ত্র থাকে সুস্থ।
ত্বক ভালো রাখেঃ
পেঁপে ত্বকের জন্য খুবই উপকার। পাঁকা পেঁপে ত্বকে লাগানোর ফলে ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর হয়ে যায়। যেমন ব্রণ, ফ্রেকলস এবং পিগমেন্টেশনের সমস্যা এড়াতে পারেন। এতে রয়েছে ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা আপনার ত্বককে সুস্থ রাখে।
পেট ফাঁপার উপশমঃ
পেঁপের সঙ্গে একটু নুন এবং একটু গোলমরিচের গুঁড়ো এক সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে পেট ফাঁপার উপশম হয়।
পেপসিনের প্রভাবঃ
কাঁচা পেঁপে খাওয়ার ফলে লিভারের নানা সমস্যা দূর হয়ে যায়। খিদে বারে এবং জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। পেঁপের রসে এমন কিছু উপাদান আছে যা আমাশয়, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে করে।
জয়েন্টের সমস্যা দূর করেঃ
পেঁপে খাওয়ার ফলে জয়েন্টের সমস্যা দূর হয়ে যায়। গ্রিন টির সঙ্গে ফুটিয়ে চা তৈরি করে খেলে বাতের সমস্যায় আরাম মিলে।
ডেঙ্গুর রোগ নিরাময় কার্যকরঃ
ডেঙ্গু রোগের ফলে প্রচন্ড জ্বর হয়। কমে যায় প্লাটিলেট। এর ফলে কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে পেঁপে পাতার রস খেতে বলেন অনেকেই। শ্বেত রক্তকণিকার প্লাটিলেট সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে কাঁচা পেঁপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। এই খনিজ গুলো ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে।
পেঁপে খাওয়ার ফলে শুধু যে ওজনই নিয়ন্ত্রনে থাকে তা নয়। আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান হয়। এজন্য অল্প অল্প পরিমাণে পেঁপে খাওয়া প্রয়োজন। বেশি খাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার পেজটি ঘুরে দেখবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url