সেগুন গাছের ভেষজ গুনাগুন প্রচুর
সেগুন গাছের কাঠ ও যেমন ভালো তেমনি এর ঔষধি গুণাবলী ও প্রচুর রয়েছে। এই গাছের পাতা আমাদের বিভিন্ন কাজে লাগে। এই পাতার রস রক্ত বাড়ায়। সেগুন বীজের তেল হল কেশ্য যা চুলের জন্য খুবই উপকার। এবং এর বীজ কন্দুধনা ( চুলকানি দূর করে)। এ কাঠের বীজ মূএাশয় এবং কিডনির পাথর অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সেগুন গাছের বিভিন্ন গুনাগুনঃ
অম্ল রোগ নিয়ন্ত্রণেঃ
অম্ল রোগের ক্ষেত্রে এই গাছ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অম্ল পিত্ত রোগ শ্লেম্মাজনিত, সে ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এই রোগ হলে সেগুন গাছের কাঠের গুড়া ১৫ থেকে ২০ গ্রাম নিতে হবে। এই গুড়ার সঙ্গে ৪ থেকে ৫ গ্রাম জল মিশিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। এই জলটি যখন এক কাপ পরিমাণ মতো হবে তখন নামিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই জল সারাটা দিনে ৪-৫ বাড়ে অল্প অল্প করে খেতে হবে। এভাব ৩/৪ দিন ব্যবহার করলে ওটা সেরে যাবে।
পাথুরী রোগ নিয়ন্ত্রণেঃ
পাথুরী রোগ নিয়ন্ত্রণে সেগুন গাছের ফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।মূত্র সম্বন্ধীয় রোগের অন্যতম রোগ হল পাথুরী বা অশ্বরী রোগ। এর জন্য সেগুন ফল চূর্ণ ৫০০ মিলিগ্রাম জলের সাথে মিশিয়ে সকালে এবং বিকেলে দুইবার খেতে হবে। প্রসাবের বেগ সরল হবে। এটি খাওয়ার ফলে এই রোগ ভালো হয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
কৃমি নাশোক হিসেবেঃ
ক্রিমিনাশোক হিসেবে সেগুন গাছের গুড়ো ব্যবহৃত হয়। কৃমির উপদ্রব দূর করতে সেগুন গাছের কাঠের গুঁড়ো ৪ -৫ গ্রাম নিয়ে দুই কাপ জলে সিদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর এই জল সেকে নিয়ে সকালে এবং বিকালে দুইবার খেতে হবে, এটা ৭/৮ বছরের বাচ্চাদের জন্য। বয়স অনুপাতে সে বোনটি কম বেশি করতে হবে। সব দ্রব্য সকলের সহ্য করতে পারেনা এজন্য অল্প পরিমাণ ব্যবহার করা উচিত।
বাহ্য ব্যবহারঃ
মাথার যন্ত্রণায়ঃ
মাথার যন্ত্রনা প্রায় মানুষেরই হয়ে থাকে। এই মাথার যন্ত্রণাটা অনেক সময় সাময়িক হয়, আবার পুরনো রোগ থেকেও হয়ে থাকে। এমন যন্ত্রণা হয় কোন কিছু করতে ভালো লাগে না। এই যন্ত্রণা দূর করার জন্য সেগুন কাঠের গুঁড়ো জল দিয়ে বেটে কপালে প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা ভালো হয়ে যাবে এবং ঘুমও আসবে।
মচকে গেলেঃ
অনেক সময় আমাদের হাতে পায়ে মচকে যায়। মচকে যাওয়ার ফলে সেখানে ফুলে ওঠে ও যন্ত্রণা করে।মচকে যাওয়া স্থানে সেগুন কাঠের মিহি গুড়া জল দিয়ে বেঁটে অল্প গরম করে সকালে ও বিকালে দুইবার প্রলেপ দিতে হবে। তাহলে ফুলা এবং যন্ত্রনা দুটোই কমে যাবে।
চুলকনা ও খোস- পাঁচড়ায়ঃ
সেগুনের বীজের তেল বিশেষ উপকারী। শীতের পর এ বীজ সংগ্রহ করে ঘানিতে ভাঙ্গিয়ে নিতে হবে। তেলটা বেশ গাঢ় হয়। এই তেলটা চুল কনা ও খোস- পাঁচড়ায় দিলে ভালো হয়ে যাবে।
কেশ বর্ধনঃ
অনেকের মাথায় চুল বাড়তে চায় না। এজন্য সেগুনের বীজের তেল একভাগ আর নারকেল তেল দুই ভাগ একসঙ্গে মিশিয়ে স্নানের পর মাথায় লাগাতে হবে। এই তেলটা খুব আঠালো। এই তেলটা মাথায় মাখলে তুলে আটা হবে। সেজন্য তেলটাকে একটু ফিল্টার করে নিতে হবে।
সতর্কীকরণঃ ঘরে প্রস্তুতকৃত যেকোন ভেষজ ঔষধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url