আম সুস্বাদু ও রসালো ফল যা পুষ্টি গুণে ভরপুর


বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান ফল আম। তাই আমকে ফলের রাজা বলা হয়। আম গ্রীষ্মকালীন ফল । আম একটি রসালো ও সুস্বাদু ফল। আম কমবেশি সবার পছন্দের ফল। উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশে এর স্থান নবম। আম পুষ্টি গুনে ভরপুর। এটি খাওয়ার ফলে শরীরের নানারকম সমস্যা দূর হয়ে যায়। রাজশাহীতে উৎকৃষ্ট মানের আম উৎপন্ন হয়। পৃথিবীতে প্রায় অনেক প্রজাতির আম আছে।

আম পুষ্টি গুনে ভরপুর


যেমনঃ হিমসাগর, আম্রপালি,ফজ্লি, ল্যাংড়া,গোপাল ভোগ, খিরসা পাত,গোবিন্দভোগ,কাঁচা মিঠা, হাড়িভাঙ্গা ইত্যাদি।

পুষ্টিগুণে ভরপুরঃ

ফলের রাজা আম প্রচুর পুষ্টিগুনে ভরপুর। ১ কাপ বা ১৬৫ গ্রাম ফ্রেশ আমে রয়েছে-

- ৯৯ ক্যালোরি
- ১ .৪ গ্রাম প্রোটিন
- ২৪.৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেটস
- ০.৬ গ্রাম ফ্যাট
- ২.৬ গ্রাম ফাইবার
- ২২.৫ গ্রাম সুগার
- ভিটামিন সি - ৬৭ %
- কপার - ২০%
- ফোলেট - ১৮%
- ভিটামিন B6 - ১২%
- ভিটামিন এ - ১০%
- ভিটামিন ই -১০%
- ভিটামিন কে - ৬%
- লিয়াসিন - ৭%
- পটাশিয়াম - ৬%
- রিবোফ্লাভিন - ৫%
- ম্যাগনেসিয়াম - ৪%
- থায়ামিন - ৪%

আমে ক্যালোরি কম হলেও গুষ্টিগুণ বেশি রয়েছে - বিশেষ করে ভিটামিন সি, আয়রন, শোষণ এবং কোষের বৃদ্ধি ও ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুনঃ

এন্টিঅক্সিডেন্ট এর খনিঃ

আমি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট। আর এসব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষ গুলোকে ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচায়। আর এভাবে শরীর সুস্থ ও সুন্দর থাকে।

ত্বক ভালো থাকেঃ

আম খাওয়ার ফলে ত্বক খুব ভালো থাকে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আম ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া বয়সের ছাপ পড়তে দেয়না।

রোগ প্রতিরোধে কার্যকারীঃ

আম রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি রয়েছ। ভিটামিন সি স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে। দাঁত, মাড়ি, ত্বক ও হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখে।

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ

আম একটি মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল। আম খাওয়ার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এক কাপ আমে রয়েছে ২.৬গ্রাম আঁশ, আর ১০০ ক্যালোরি। আঁশের কারণে আম খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। এর জন্য বাইরের ফাস্টফুড খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ

আম খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। যেমন কোলন ক্যান্সার,স্তন ক্যান্সার,রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে কাজ করে। এজন্য সবারই আম খাওয়া প্রয়োজন।

আম- আঁশের নানা গুণঃ

আমে প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে। আর এই আঁশ খাদ্য পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভালো। আঁশ বা ফাইবার কোষ্ঠ পরিস্কার করে ও খাবার হজমে সাহায্য করে। আবার রক্তের চিনির মাত্রা এবং খারাপ কোলেস্টরেল কমাতে সাহায্য করে।

পাকা আমের উপকারিতাঃ

  • আমে ক্যারোটিন রয়েছে যা চোখ সুস্থ রাখে এবং সর্দি কাশি দূর করে।
  • আম খাওয়ার ফলে আয়রনের অভাব দূর হয় এবং অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে।
  • পটাশিয়াম রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং হ্রদ যন্ত্র সবল রাখতে সাহায্য করে।
  • আমে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হার গঠনে সাহায্য করে। দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে।
অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিস যাদের রয়েছে তাদের পাকা আম খাওয়া ঠিক নয়, এটা ভুল ধারণা। অল্প পরিমাণে আম খেলে শরীরের শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা অল্প পরিমাণে আম খেতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url